‘ভারতে ইংরেজ রাজত্ব ফিরে এসেছে’
নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তোলপাড় চলছে ভারতে। সিএএ নিয়ে ক্রমেই সোচ্চার হচ্ছে দেশটির মুসলিম সমাজ। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন কেন্দ্রের এই আইন রাজ্যে প্রয়োগ করতে দেবেন না। অপরদিকে কেন্দ্র থেকে স্পষ্ট জানানো হচ্ছে যে আইন প্রয়োগ করা হবেই। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ সোচ্চার হচ্ছেন এই আইনের বিরুদ্ধে।
পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম সমাজও সোচ্চার হয়েছেন এর বিরুদ্ধে। তাঁরা বলছেন, দেশে এখন ইংরেজ রাজত্ব ফরে এসেছে। দেশ এখন স্বাধীন হয়েও পরাধীন। খবর: কলকাতা ২৪। সম্প্রতি হুগলীর বৈদ্যবাটির কাজিপাড়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এক শান্তি সভার আয়োজন করে নাগরিক সংগ্রামী সুরক্ষা মঞ্চ। সেখানেই কেন্দ্রের এই আইনকে ফের ‘কালা কানুন’ বলা হয়। এর বিরুদ্ধে এই সমাবেশ ছিল।
প্রত্যেক বক্তাই তীব্র ধিক্কার জানান কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের জন্য। অল বেঙ্গল মাইনোরিটি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু আফজাল জিন্না বলেন, ‘এরা দ্বিতীয় বৃটিশ। দিল্লির সরকার ভুল করছে। এনআরসি, সিএএ জোর করে মানুষের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে।
দেশজুড়ে যেভাবে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে অমিতজি ও মোদিজি দুবার করে ভাবুন। গরীবকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মানুষ যেভাবে সমর্থন করেছে এরপর তারা সমর্থন আর পাবে না। কালা কানুনের ফলে মানুষ ভয় পেয়ে গিয়েছে। সাধারণ নাগরিক ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে এবং এনপিআর সংশোধন করুন।
’ অল বেঙ্গল মাইনোরিটি অ্যাসোসিয়েসন বলছে, ‘এই বিল পাস করানোর আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে ভারতবর্ষে মুসলিম তাড়ানোর পরিকল্পনা। যার জন্যই মুসলিমরা আজ ভীত সন্ত্রস্ত। কারণ, এর সঙ্গেই যোগসূত্র রয়েছে এনআরসির। এই আইন পাস করিয়ে আসলে ভারতীয় সংবিধানকেই অপমান করা হচ্ছে। এই বিল ধ্বংসাত্মক। এই সিদ্ধান্ত হিটলারি।’